দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় কি
- আপডেট সময় : ০২:০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনায় থাকছে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আমাদের এই প্রতিবেদন হবে অত্যন্ত কার্যকরী। যে কোন মুহূর্তে আপনার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন আপনাদের এই উচ্চ রক্তচাপকে এবং সুস্থ হতে পারবেন অতি দ্রুত। আসুন এখন আমরা এই তথ্যগুলো আপনাদেরকে জানাই।
উচ্চ রক্তচাপ কি?
আমরা অনেকেই বলে থাকি হাই প্রেসার অর্থাৎ হাই প্রেসার এই শব্দটির সঙ্গে আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি এবং জানি। যাকে বলা হয় উচ্চচাপ বা ইংরেজিতে যেটি হাই ব্লাড প্রেসার বলা হয়ে থাকে বাংলায় সেটিকে বলা হয় উচ্চ রক্তচাপ। আর এই উচ্চ রক্তচাপ হচ্ছে মানুষের রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। যদি এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয় এক সময় শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হতে হয় তাদের। এমনকি উক্ত রক্তচাপ জনিত কারণে অনেকে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের দেখা যায় প্রায় ৩০ শতাংশের অধিক মানুষের রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের এই হাই প্রেসার এর পরিমাণ বেশি।
আর এই হাই প্রেসারের কারণে অনেকেই নানা ধরনের সমর্থন হয়। কি কারণে হাই প্রেসার হয়ে থাকে তা এখন আপনাদেরকে জানানোর অপেক্ষা করব যাতে করে আপনারা সাবধান হয়ে যেতে পারেন। একে সাধারণত একটি বংশগত কারণেও হতে পারে, আর তাছাড়া বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন অতিরিক্ত খাওয়া, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য, তৈলাক্ত খাবার বেশি গ্রহণ, পরিশ্রম কম করা ইত্যাদি কারণে। নিয়মিত ঘুম না হলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় এবং নানা ধরনের খাদ্যাভাসার কারণেও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে খাদ্যাভাস, ধুমপান, অতিরিক্ত ওজন এবং কম ঘুমানো এ বিষয়গুলো। কিভাবে আপনারা এই উচ্চ রক্তচাপ রাখার পাবেন এবং ইমারজেন্সি পর্যায়ে সেবা গ্রহণ করবেন তা তুলে ধরা হলে নিচে।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
হাই প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সবচেয়ে বেশি ২৫ বছর থেকে বয়স্ক পর্যন্ত। শিশুদের কিংবা কিশোরদের এই হাই প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমই থাকে। যাদের হাইপ্রেশার রয়েছে তাদের পাশাপাশি লো প্রেসার রয়েছে যাতে তাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা অতিরিক্ত লো প্রেসার থাকলেও সেটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এজন্য বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে পরিশ্রম করতে হবে এবং যাবতীয় ডাক্তারের পরামর্শ গুলো মেনে চলতে হবে। তবে যাই হোক এখন আমরা এই হাই প্রেসার কিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করবে তা নিয়ে আলোচনা করব।
যাদের হাই প্রেসার রয়েছে তাদের বেশ নিয়মের মাধ্যমে চলাফেরা করতে হয়। যেমন ওজন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। উচ্চতা অনুসারে ওজন ঠিকমতো রাখতে হবে যাতে করে কোন ধরনের অসুবিধা না হয় এবং চলাফেরার সুবিধা হয়ে থাকে। যাদের উচ্চতা অনুসারে ওজন বেশি থাকে তাদের সাধারণত দেখা যায় খুব দ্রুত হাইপ্রেসার হয়ে যায় এবং অল্প কাজে হাপিয়ে ওঠে। তাই অবশ্যই এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে সবার। একই সঙ্গে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের এই হঠাৎ করে হাই প্রেসার বেড়ে যায় না ঘুমানোর কারণে ঘুম না হলে তাদের অনেক অংশ এই সমস্যা দেখা যায়। মাথা ব্যাথা এবং চোখ ব্যাথা সহ সারা শরীর ব্যথার সৃষ্টি করে।
এছাড়াও খাবারের দিকে বেশি নজরদারি করতে হয় তাদের। কেননা তৈলাক্ত যুক্ত এবং ভারী শর্করা জাতীয় খাবার খেলে এদের বেশি প্রেসার হয়ে যায়। তাই এ সকল বিষয় দিকেও খেয়াল রাখতে হয় তাদের। তবে যাই হোক আমরা দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে জানব। কিভাবে আপনারা এই বিপদের মুহূর্তে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এবং আপনার নিকটস্থ মানুষদেরকে সেবা যত্ন করে অগ্রসর করবেন।
প্রেসার বাড়লে কি করণীয়
যাদের প্রেসার হাই হয় কিংবা উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয় তখন নিজেরা বুঝতে পারে এমনকি যারা আশেপাশের সচেতন রয়েছে তাও বুঝতে পারেন। এ সময় যথা সম্ভব তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আর এই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তারা দ্রুত সুস্থ হয় এবং ঝুঁকি কমে যায় সকল কিছুর। চলুন এখন আমরা এ বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানাই এখন।
যখন বুঝতে পারবেন যে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শারীরিক চলাচল যতটা সম্ভব কমিয়ে দিতে হবে। এ সময় বিশ্রাম নিতে হবে এবং শরীর গরম থাকলে তা ঠান্ডা করতে হবে। আর যতটা সম্ভব টক জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যদি দেখা যায় উচ্চ রক্তচাপ কোনভাবেই কমছে না ঠান্ডা বাতাসে বা চুপ থাকা অবস্থায়। তখন তেতুল গরম পানির সাথে হালকা মিক্স করে তারপর খেতে হবে অথবা শুধু তেতুল খেতে পারেন। এতে করে দ্রুত প্রেসার কমে যাবে এবং একে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। যদি হাতের কাছে তেতুল না থাকে তার পরিবর্তে আপনারা লেবু পানি খেতে পারেন। লেবু পানি এক্ষেত্রে দারুন কার্যকারিতা দিয়ে থাকে। একই সঙ্গে তৈলাক্ত এবং চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে বিশেষ করে ফাস্টফুড এর পরিমাণ আরো কমাতে হবে। এ হচ্ছে হাই প্রেসার হলে দ্রুত তাদের করণীয় সম্পর্কে তথ্য।
আশা করা যাচ্ছে তাহলে আপনারা দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারছেন। এরকম আরো অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের স্বাস্থ্য ক্যাটাগরি দেখুন বেশি বেশি করে।