ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ২০২৫ | NID card check online
- আপডেট সময় : ০২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮৬ বার পড়া হয়েছে
নতুন ভোটাররা যারা ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ২০২৫ এখনো হাতে পাননি। কিংবা ডাউনলোড করার চেষ্টা করতেছেন তারা আমাদের এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ করে নিতে পারেন। তাহলে আপনারা অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। একই সঙ্গে স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারবেন যে তাদের স্মার্ট কার্ড হাতে এসেছে কিনা। অর্থাৎ যাবতীয় সকল প্রশ্নের উত্তর গুলোই দেওয়া হচ্ছে আমাদের এই প্রতিবেদনে। আর মূলত এটি হচ্ছে একটি শিক্ষামূলক পোস্ট বা কনটেন্ট যা আপনার জন্য হবে অত্যন্ত কার্যকরী।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অবশ্যই সবার প্রয়োজন একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে পরিচয় পত্র। আর এই জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে তার ফুটিয়ে তোলা হয়ে থাকে সে বাংলাদেশের নাগরিক। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে রয়েছে এই জাতীয় পরিচয় পত্র যাকে বলা হয় ন্যাশনাল আইডি কার্ড। আইডি কার্ড শুধুমাত্র নিজের পরিচয় ফুটিয়ে তোলে না বরং ফুটিয়ে তোলে আরো নানা ধরনের কাজ ও ধারাকে। যেমন বাংলাদেশের মধ্যে যদি অভ্যন্তরীণ সরকারি কিংবা বেসরকারি কাজ করতে জানে সে ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োজন হবে। শুধুমাত্র কাদের জন্য এই বিষয়টি তেমন নয় ব্যক্তিগত কাজেও এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রয়োজনে। যে সকল ব্যক্তিদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে তাদের এই জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রতি বছর এই জাতীয় পরিচয় পত্রের হালনাগাদ শুরু হয়। যেখানে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ক্যাম্পেইনটি চালিয়ে থাকেন। আর এখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এই সকল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের খোঁজ করা হয় এবং তাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয় অর্থাৎ হালনাগাদ করা হয়। আর এই হালনাগাদ করার পর নির্দিষ্ট দিনে প্রয়োজন হয় ছবি তোলার জন্য এবং অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের পর তাদেরকে ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভোটার আইডি কার্ড দেওয়ার সময় তাদেরকে ফিজিক্যাল এভাবে দেয়া হয়ে থাকে। আর এর জন্য বেশ কিছু সময় লেগে যায় সাধারণত তুলনামূলক ভাবে। এ সময় এক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত হতে পারে।
ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড
এই বিরতি কিংবা ছবি তোলার পর্বে কয়েকদিন বা মাস পর এই ফিজিক্যালি ভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়ার পূর্বে অনেকেরই এ জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি অনেকেই ডাউনলোড করতে চান কিংবা খুঁজে থাকেন। কিভাবে আপনারা চেক করবেন যে আপনাদের এই জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি কিংবা অনলাইন কার্ড এসেছে কিনা তা নিয়ে এখন আলোচনা করা হবে। যাতে করে এ সকল বিষয় বুঝতে পারেন আপনারা খুব সহজে। চলুন তাহলে আমরা এখন সরাসরি চলে যাই মূল প্রসঙ্গে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক
এই জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার জন্য আপনাদের বেশ কিছু বিষয় প্রয়োজন হবে। প্রথমে যেটি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ডিভাইস। এই সকল ডিভাইস ব্যতীত আপনারা এটি চেক করতে পারবেন না কিংবা জানতে পারবেন না। চেক করার জন্য এ বিষয়ে প্রয়োজন হবে তাই প্রথমে এ সকল বিষয়গুলো প্রস্তুত রাখতে হবে তারপর এটি চেক করতে হয়। আপনাদেরকে জানানো হবে কিভাবে আপনারা এগুলো ধাপে ধাপে ডাউনলোড করবেন কিংবা চেক করবেন সে বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন।
NID card check online
যারা এই জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে আগ্রহী তারা নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। কারণ কোন একটি ধাপ যদি আপনি মিস করেন তাহলে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। তাহলে এখন আমরা সরাসরি চলে যাই কিভাবে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে।
প্রথম ধাপ
প্রথমে এটি ডাউনলোড করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আপনি গুগলে সার্চ করে অথবা সরাসরি আমাদের এখানে প্রবেশ করে আপনারা এই ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে ঢোকার পর প্রথমে একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখানে রেজিস্ট্রেশন নামের একটি অপশন রয়েছে। এবার এই অপশনে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন নামের একটি অপশন পাবেন আর এখানে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে প্রথমে।
দ্বিতীয় ধাপ
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর পরবর্তী ধাপে দিতে হবে। এই ধাপে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে। যখন জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনের জন্য যে তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে এখানে সেই তথ্যগুলি দিতে হবে। যদি তথ্য ভুল থাকে তাহলে এই সকল তথ্যগুলো নিবে না।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে। যখন আবেদন করেছিলেন তখন এখানে একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল। আর এই মোবাইল নম্বরে ভেরিফাই করে নিতে হবে। তবে এখানে একটি সুবিধা জনক ব্যাপার হয়েছে। চাইলে আপনারা আপনার নিকটবর্তী যে মোবাইল আছে সে মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমেও এটি ভেরিফাই করে নিতে পারবেন। ভেরিফাই করলে সরাসরি পরবর্তী ধাপে চলে যাবে।
এখানে মূলত যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এরপর ফেলিফিকেশন করার প্রয়োজন হয়। কিভাবে ফেস ভেরিফিকেশন করবেন এখানে তা আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ভোটার আইডি কার্ডের ফেইস ভেরিফিকেশন
ফেইস ভেরিফিকেশন ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। কারণ এই ফেস ভেরিফিকেশন যদি সম্পূর্ণ না হয় তাহলে তারা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন না। চলুন এখন আমরা দেখে নেই সরাসরি কিভাবে এটি করবেন। ফেইস ভেরিফিকেশন করার জন্য প্রথমে প্লে স্টোর থেকে NID wallet নামের একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। এটি ডাউনলোড করার পর আপনারা উপরের চেয়ে ধাপগুলো অতিক্রম করেছেন তার সর্বশেষে ধাপ নামের একটি একটি অপশন পাবেন। সেখানে রয়েছে Qr Code. এবার এই অপশনে যেতে হবে এবং অ্যাপ এ ঢুকে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই অটোমেটিক ভাবে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন যাবে।
ভালোভাবে ফেস ডান দিক বাম দিক করতে হবে এবং চোখের পলক ফেলতে হবে। সফলভাবে এই ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে আপনার উপরের থেকে উক্ত ধাপ সরে গিয়ে সরাসরি ডাউনলোড অপশন আসবে। এরপর এটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এরপর প্রয়োজনে মেনল ভাবে প্রিন্ট আউট করে তার লেমনেটিং করতে পারবেন। তাহলে এটি প্রায় সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই প্রিন্ট আউট কপিগুলো দিয়ে আপনারা চাকরির আবেদন, সিম রেজিস্ট্রেশন, মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এবং ব্যাংক একাউন্টসহ যাবতীয় সকল কার্যক্রম করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি দিয়ে মূলত সব ধরনের কাজ করা যায়। যখন মূল জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাবেন তখন সেটি ব্যবহার করবেন। আপনারা যদি এটি বের না করতে পারেন তাহলে সরাসরি আমাদের ফেসবুক পেজের নক দিবেন। কারণ যদি জাতীয় ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি না বের করতে পারেন তাহলে আমরা এ বিষয়ে বের করার সহযোগিতা করব। আমরা এখানে একটা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেওয়ার চেষ্টা করব যাতে করে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে আপনারা ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়াও আমাদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে এই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন তবে ফেস ভেরিফিকেশন আপনাদের নিজেদেরকেই করতে হবে। বিষয় সম্পর্কে তথ্য ছিল আমাদের কাছে এতটুকুই আরও আপডেট জানার জন্য আমাদের নিউজ পড়ুন প্রতিনিয়ত।
পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন