নো ওয়ার্ক নো স্কুল কর্মসূচি
- আপডেট সময় : ১২:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অফিস আদালতসহ চলছেন নো ওয়ার্ক নো স্কুল। মূলত গাজায় মুসলমানদের নির্বিচারে হ#ত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এই সম্পর্কেই আমাদের উক্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্যগুলো আলোচনা করা হচ্ছে। যাতে করে আজকের এই কর্মসূচি বা প্রতিবাদ মূলক বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা সহ সকল শ্রেণীর মানুষেরা জানতে পারেন কি কারনে এটি হচ্ছে।
প্রায় ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব হয়ে আসছে। এক সময় ফিলিস্তিনের এই আবাস দখল করে নেয় ইসরাইল। যেখানে ফিলিস্তিনেরা এখানে স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন এবং তাদের ভূমি ছিল। কিন্তু এখন নিজেদের ভূমি হারাতে চলেছেন। আক্রমণ হচ্ছে একের পর এক পাল্টা আক্রমণ। কিন্তু সাম্প্রতিক দুই বছরগুলোতে এই আক্রমণ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বিশেষ করে ইস#রাইল নির্বিচারে বো#মা হামলা, গু@লি বর্ষণ ইত্যাদি করে যাচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে অনেক বেশি। বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে তাদের সাম্প্রতিক আক্রমণগুলো আরো ভয়ানক হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে যে এই কথা এক মাসের আক্রমণের সবচেয়ে তীব্রতা হয়েছে বেশি। বোমার পাশাপাশি মানুষজন হাওয়ায় উঠছে তাদের লাশগুলো। মনে হবে কোন একটি মুভির দৃশ্য কিন্তু না এটি ইজরা#ইলের আক্রমণে ফিলিস্তিনিদের হ৳ত্যার একটি করুণ দৃশ্য।
আন্তর্জাতিক কোন নিয়মকানুন না মেনেই এই হামলা চালাচ্ছে বারবার। শহরগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এমনকি বিভিন্ন হাসপাতালেও আক্রমণ করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মী এবং উদ্ধারকর্মীদেরও নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছে এর পূর্বে।
নো ওয়ার্ক নো স্কুল কর্মসূচি
গত ১৫ দিন ধরে এই আক্রমণের পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে সারা বিশ্ব চমকে উঠেছে। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অন্যান্য ধর্মীয় মানুষেরাও এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং লন্ডন থেকেও এই প্রতিবাদে এসেছে অনেক বেশি। কিন্তু মুসলমানদের একটাই অভিযোগ এ বিপদের সময় অন্য মুসলিম দেশগুলো পাশে নেই। যেমন নেই পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার এবং অন্যান্য দেশগুলো। এছাড়াও অনেকেই বলছেন ইরানের সময় পাশে নেই। যদি এ সকল মুসলিম দেশগুলোর সাথে থাকতে তাহলে ঘটনা এরকম ঘটতো না।
বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশগুলো আজকে বাংলাদেশের মতো এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যদিও ইতিপূর্বে নানা ধরনের মিটিং মিছিল এবং বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে এবং বাংলাদেশ থেকেও। সাম্প্রতিক সময়ে সকল তীব্র ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই আমাদের দেশে এই সিস্টেম চালু করেছে ৭ এপ্রিল রোজ সোমবার। সময় সারা বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং অফিসের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এত করে এই প্রতিবাদ সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে যায় এবং এর গণহ&ত্যার প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন
ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নো ওয়ার্ক নো স্কুল কর্মসূচিতে সারা দিয়েছেন এবং তা প্রতিবাদস্বরূপ দিয়েছেন। আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তবে এ বিষয় নিয়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেতিবাচক ফেলেছে তাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়।