আবারো সরকারি পলিটেকনিক ভর্তি পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি আলোচনা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা করা হয়েছে তা উপস্থাপন করা হবে এখন।

বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ডের গুলোর মধ্যে অন্তত একটি শিক্ষা বোর্ড হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। মূলত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে এই শিক্ষা বোর্ড গড়ে উঠেছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চতা ডিগ্রি পর্যন্ত এর কোর্স রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সংক্ষিপ্ত তিন মাসের কোর্স ছয় মাসের কোর্স এবং লং টাইম কোর্স। মূলতো এই শিক্ষা বোর্ডের মূল কাজ হচ্ছে দেশের কারিগরি শিক্ষাকে আরো উন্নত করা এবং শিক্ষার্থীদের এখানে পড়াশোনা করার জন্য আগ্রহ তৈরি করা।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা যাতে কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে ভালোভাবে ধারণা লাভ করে এবং এ বিষয়ে দক্ষ হন। কেননা একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই ক্যাটাগরি শিক্ষার ভূমিকা অনেক বেশি। প্রতিবছর সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী এবং অন্যান কারিগরির দক্ষ শিক্ষার্থীরা বের হওয়া। তাদের সকল কার্যক্রমে সম্পন্ন করে থাকে এই শিক্ষা বোর্ড। এখানে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি যতগুলো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের সকল কেন্দ্র হচ্ছে এই কারিগরি শিক্ষা পর্যায় ঢাকাতে অবস্থান করছে।

সরকারি পলিটেকনিক ভর্তি পরীক্ষা শুরু

এবার সরকারি পলিটেকনিক গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করার জন্য আলোচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এ বিষয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে যে পুনরায় এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে প্রথম পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। ২০১৫ সালের আগে এখানে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি করানো হতো কিন্তু ২০১৫ সালের থেকে এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার এই শিক্ষা কার্যক্রমও নতুন করে চালু করার জন্য তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

আর এমনটাই জানানো হয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবারে। এ বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। খুব শীঘ্রই এ বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে এবং এটি কার্যকর নিয়ে আলোচনা করা হবে। একই সঙ্গে আরো অন্যান্য ব্যক্তিবর্গেরা জানান এই পদ্ধতি চালু করলে যোগ্য প্রার্থীরা এখানে ভর্তি হতে পারবেন। যার কারণে কারিগরি শিক্ষা এগিয়ে যাবে এবং আরো উন্নত হতে থাকবে। এর আগে বিভিন্ন পয়েন্টের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করে তারপর শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হতো। যা গত বছর পর্যন্ত চলমান ছিল। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের উক্ত পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে যখন সরকারি পলিটেকনিক ভর্তি পরীক্ষা শুরু কথাটি উল্লেখ করেন তখন যদি আরো বলেন এখানে কারিগরি শিক্ষার মান আরো উন্নত করা হবে। এ বিষয়ে আরো অন্যান্য পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে যাতে করে এখান থেকে দক্ষ শিক্ষার্থীরা বের হয় এবং দেশে গুরুত্বপূর্ণ সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে সবাই এই বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে।

তবে সারা বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ৫১টির বেশি সরকারি পলিটেকনিক রয়েছে। এ সকল পলিটেকনিকগুলোতে পূর্বের মতো ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হলে প্রকৃত মেধাবীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা বলছেন এ পদ্ধতি কার্যক্রমণ করা দরকার তাহলে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে আরও বেশি। এই ছিল সরকারি পলিটেকনিক ভর্তি পরীক্ষা শুরু বিষয় সম্পর্কে তথ্য। আরো আপডেটগুলো জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

আরোঃ জাবি এ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন