আজকে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের লাঠিপেটা করেছেন পুলিশ। আর এই খবরটি বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনলাইন এক্স পোর্টালগুলোতে ব্যাপক ছড়িয়ে গিয়েছে। আজকে এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের একটি তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অনলাইন থেকে সংগ্রহীত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে অন্যতম একটি শিক্ষা বোর্ড হচ্ছে মাদ্রাসা। ‌আর এই মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ধাপ রয়েছে। আর এই সকল ধাপগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইবতেদায়ী। সারা দেশ জুড়ে প্রায় কয়েক হাজার ইবতেদায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে প্রাথমিক লেভেলের মাদ্রাসার পড়াশোনা করানো হয়ে থাকে।

আর এই সকল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কে পড়াশোনা করে থাকে শিক্ষকগণ। আর এই সকল শিক্ষকগণ রয়েছেন সরকারিভাবে নিয়োজিত কিন্তু তাদের রয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। আগে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একে নিয়ে তাদের দাবি তুললে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আজকে সে বিষয় সম্পর্কে জানব।

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের লাঠিপেটা করেছেন পুলিশ

আজকে দুপুর ১২ টার দিকে শাহবাগে ইবতেদায়ী শিক্ষকরা তাদের দাবি নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। আর এখানে অবস্থান করার জন্য রয়েছে তাদের ছয় দফা দাবি। এখন আমরা এই ছয় দফা দাবি সম্পর্কে জেনে নেই। অর্থাৎ তাদের কি কি দাবি ছিল এখানে।

ক) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নিবন্ধন স্থগিত আদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা লাগবে।

খ)‌ রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত কোড বিহীন মাদ্রাসারগুলো বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বরের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

গ) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আলাদা নীতিমালা ঘোষণা করা।

ঘ) পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন এবং ভাতা, নীতিমালা ২০২৫ অনুমোদন।

ঙ) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগ ব্যবস্থা নেওয়া।

চ) প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় প্রাক্‌ প্রাথমিক শ্রেণির খোলা অনুমোদনের ব্যবস্থা করা।

তারা এই ছয় দফা দাবি নিয়ে আজকে জমায়েত হয়েছিলাম শাহবাগে। সে সময় পুলিশের সাউন্ড দেওয়া হয় এবং লাঠিপেটা করা হয়ে থাকে। এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের থেকে। ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আর তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ‌ প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে তারা সবাই ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক। ইবতেদায়ী শিক্ষকদের লাঠিপেটা করেছেন পুলিশ এমন ঘটনায় বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে এখন। মুহূর্তের মধ্যে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।

বিশেষ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাবেন তারা। এছাড়াও অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর অনেক নেটিজেনরা বলেছেন শিক্ষকদের ওপর এমন ভাবে জড়া হওয়া মোটেও ঠিক হয়নি তাদের। না তারা এ মহান পেশার সাথে জড়িত এবং তাদের কাছ থেকে আমাদের ছেলেমেয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ তারা কি কি গ্রহণ করে তা জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকুন। কেননা ইবতেদায়ী শিক্ষকদের লাঠিপেটা করেছেন পুলিশ এ বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে কি জানতে হয় তা জানতে হলে আমাদের আপডেটের সঙ্গে থাকুন।