দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশ লেনদেন ২০২৫ সম্পর্কে চলুন আজকে জেনে নেই। দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োজন, অফিসের কাজ, ব্যবসায়িক ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা এই সার্ভিসটি গ্রহণ করে থাকেি। তবে এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনেকভাবেই অর্থ লেনদেন করা যায় এবং ক্যাশ আউট করা যায়। যদি আপনার এগুলো সম্পর্কে খুঁটিনাটি ধারণা না থাকে তাহলে করতে পারেন নানা ধরনের বিড়াম্বনায়।

যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে আমরা সাধারণত ক্যাশ আউট করে থাকি, অর্থ পাঠিয়ে থাকি, বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট করি এবং বিল পরিশোধ করি। তবে কোন ধরনের সার্ভিসটি কিভাবে করতে হয় এবং কত টাকা চার্জ প্রযোজ্য হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। এতে করে আপনি যেমন অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন ঠিক তেমনি ভাবে নানা ধরনের ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

সেন্ড মানির মাধ্যমে বিকাশ লেনদেন | Bkash Send Money

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের যত গুলো সুবিধা রয়েছে তার মধ্যেও সেন্ড মানি হচ্ছে অন্যতম। এর মাধ্যমে আমরা একটি পার্সোনাল একাউন্ট (Personal Account) থেকে ওপর একটি পার্সোনাল একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে থাকে। আপনি যদি একটি বিকাশ নম্বর থেকে ওপর একটি বিকাশ নম্বর সেন্ড মানি করেন তাহলে চার্জ প্রযোজ্য হবে ৫ টাকা।

কম খরচে বিকাশ লেনদেন ২০২৫

কিন্তু আপনি যদি উত্তর নাম্বারটি প্রিয় নাম্বার (Pryo Numner) হিসেবে একাউন্টে যুক্ত করে নেন তাহলে সেন্ড মানির জন্য কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের খরচ ছাড়াই সেন্ড মানি করতে পারবেন। এভাবে আপনি একাধিক নম্বর প্রিয় নম্বর হিসেবে যুক্ত করতে পারবেন।

বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ ২০২৫ | Bkash Cash Out Charge

ক্যাশ আউট সম্পর্কিত বিষয় গুলি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ গুলি ক্যাশ আউট করতে পারেন। সাধারণত এজেন্ট এবং এটিএমের মাধ্যমে আমরা অর্থ ক্যাশ আউট করে থাকি।

এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করার জন্য আপনাকে প্রতি হাজারে চার্জ দিতে হবে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু সেই এজেন্ট নম্বরটি যদি আপনি প্রিয় এজেন্ট নম্বর হিসেবে যুক্ত করেন তাহলে প্রতি ১ হাজার চার্জ দিতে হবে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। এভাবে আপনি প্রতি মাসে অনেক টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন।

ক্যাশ আউট করার দ্বিতীয় জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে এটিএম ব্যবহার করে। এর মাধ্যমেও আপনি প্রতি হাজারে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা ফি প্রদানের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন ব্রাক ব্যাংক সিটি ব্যাংকের এটিএম বুথ।

বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট এবং বিল পরিশোধ

বিকাশ লেনদেন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ বিল প্রদান, ইন্টারনেট বিল প্রদান, গ্যাস বিল প্রদান ইত্যাদি। আগে সাধারণত এই সকল বিল গুলো প্রদান করার জন্য উক্ত অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হত। যেমনিভাবে অনেক সময় প্রয়োজন হতো ঠিক তেমনি ভাবে ভোগান্তিও ভালোই হতো।

কিন্তু আপনি এখন বিকাশ অ্যাপ (Bkash App) ব্যবহার করে সহজে এ ধরনের বিল গুলো প্রদান করতে পারবেন। এমনকি বিভিন্ন ধরনের বিল প্রদানে রয়েছে ডিসকাউন্ট সুবিধা। শুধু তাই নয় দেশের জনপ্রিয় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সার্ভিস কেনার জন্য আপনি এই জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন।

বিকাশ ব্যবহারের অন্যান্য সুবিধা গুলি কি কি

আমাদের সবারই প্রায় এখন একটি করে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। আর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা সবাই ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে অবস্থা। সেই সাথে থাকে একটি করে ডেবিট, ভিসা কিংবা ক্রেডিট কার্ড।

তার থেকে বিকাশে টাকা কিংবা বিকাশ থেকে কার্ডে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রায়ই নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। সরাসরি ক্যাশব্যাক সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বড় বড় শপিংমল গুলোতে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে পাওয়া যায় বিশাল ডিসকাউন্ট।

আবার যারা কিনা নিয়মিত এই সার্ভিসটি ব্যবহার করেন এবং বেশ ভালো অর্থ লেনদেন করেন তাদেরকে দেয়া হয় সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে লোন সুবিধা।

ইতি মধ্যেও চলমান আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি প্রক্রিয়া। অনেক ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের অর্থ পরিশোধ করার জন্য ব্যবহার করতে হয় এই বিকাশ। অর্থাৎ বিকাশ লেনদেনের সুবিধা অনেক।