ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম | Eid Namaz Porar Niyom

- আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। কারণ ঈদ বছরে দুইবার আসে। যার কারণে অনেকেই এই নামাজ সম্পর্কে ভুলে যান কিংবা ছোটরা এ নামাজ পড়া সম্পর্কে নিয়মগুলো জানেন না। তাই নামাজ পড়ার পরে যদি আপনারা নিয়ম গুলো জেনে নেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাদের এই নামাজ পড়ার জন্য সহজ হবে। চলুন এখন আমরা এই নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
মূলত নামাজের পাঠাতে ঈদের নামাজের সেটি হোক ঈদ উল আযহা ঈদুল ফিতর উবাই নামাজের নিয়ম কানুন একই। শুধুমাত্র নিয়তের ক্ষেত্রে এটি আলাদা হয়ে থাকে। এই নিয়ত সম্পর্কেও জানব। প্রথমে আমরা ঈদুল ফিতরের ঈদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য গুলো জানব। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি স্তম্ভ হচ্ছে রোজা যা বলা হয়ে থাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় স্তম্ভ। মান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য রমজানের সময় 30 টি রোজা ফরজ করে দিয়েছেন। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া এ রোজা ভঙ্গ করা যাবে না। বিশেষ কারণ থাকলেই এ রোজা ভঙ্গ করা যাবে কেবলমাত্র তাও আবার পরবর্তী সময় আদায় করে নিতে হবে।
তবে রমজান মাসটিতে ৩০ টি রোজা হবে এমনটি নয়। রমজান মাস শুরু হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। আর শেষ হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই। এজন্য রোজা ৩০ টা হবে কিনা নাকি ২৯ হবে তার সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। তবে এবারে কয়টি রোজা হবে তা নির্ভর করবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তা বোঝা যাবে ২৯ রোজা কিংবা ত্রিশ রোজার সময়। আর এটা দেখার জন্য বাংলাদেশে রয়েছে চাঁদ দেখার কমিটি বা বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে উক্ত কাজ করা হয়ে থাকে অফিসিয়াল ভাবে।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
রোজা ২৯ টা কিংবা ৩০টা যেটাই হোক না কেন নামাজ পড়া নিয়ে একই ঈদের নামাজ পড়ার যথাযথ নিয়ম একই রকম। কারণ একই নিয়মে যে এই নামাজগুলো আদায় করতে হয় তা থেকে ঈদের নামাজের বেশ ভিন্নতা রয়েছে। চলুন এখন আমরা এই ঈদের নামাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে নেই। ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমে নামাজের নিয়ত করতে হবে। নিয়ত নিচে তুলে ধরা হলো।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত
প্রথমে আপনাদের জন্য এখানে আমরা নিচে আরবীতে এই নিয়ত দিলাম যা আপনারা এখান থেকে মুখস্ত করে পড়তে পারেন।
‘নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাআতাইন সালাতিল ইদিল ফিতরি মাআ সিত্তাতিত তাকবিরাতি ওয়াঝিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াঝঝিহান ইলা ঝিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি ‘আল্লাহু আকবার’।’
আর যারা আরবিতে পারেনা তারা বাংলায় নিয়ত পড়তে পারেন তার নিচের তুলে ধরা হলো: আমি কিবলামুখী হয়ে ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট অতিরিক্ত ছয় তকবিরের সাথে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার। যারা আরবিতে নিয়ত পারেন না তারা এই ভাবে নিয়ত করে নিতে পারেন বাংলাতে।
ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম
এখন আপনাদেরকে অর্থাৎ আপনাদের সামনে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হবে কিভাবে এই ঈদের নামাজ আদায় করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে। চলুন এখন আমরা ধাপে ধাপে জেনে নেই।
১. নিয়ত করার পর ইমামের সাথে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে। এরপর যথা নিয়মে সানা পড়তে হবে।
২. এরপর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেওয়া হবে। এক তাকবীর হতে আরেক তাকবীর পর্যন্ত তসবি পরিমাণ বিরত থাকা লাগে। প্রথম এবং দ্বিতীয় তাকবীরের ক্ষেত্রে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে এবং তৃতীয় তাকবীরের পরে উভয় হাত বাঁধতে হবে।
৩. এরপর যথা নিয়মে সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা পড়বে এরপর যথা নিয়মে রুকু সেজদা করে প্রথম রাকাত শেষ হবে।
৪. এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় রাকাত এবং দ্বিতীয় রাকাতে যথা নিয়মে সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা পড়া শেষে আল্লাহু আকবার বলে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া হবে।
৫. প্রথম এবং দ্বিতীয় তাকবীরে হাত ছেড়ে দিতে হবে এবং তৃতীয় তাকবীরে তাহরিমা বাধতে হবে। এরপর রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকুতে যেতে হবে। এরপর যথা নিয়মে দ্বিতীয় রাকাত পড়ে শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।
উপরের এই নিয়মে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে হয়। অনেকে জানতে চান ঈদুল ফিতরের নামাজ ওয়াজিব নাকি নফল নাকি অন্যান্য বিষয়। মূলত ঈদুল ফিতরের নামাজ হচ্ছে ওয়াজিব। মুসলমানদের এই নামাজ অর্থাৎ ছেলেদেরকে আদায় করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই ছিল ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম। এরকম ইসলামিক আরো সকল তথ্য এবং বিষয়গুলো জানতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদন গুলো পড়বেন। কারণ এখানে আমরা তুলে ধরে থাকি সকল বর্তমান সময়ের তথ্য এবং বিষয়গুলো।