বাংলাদেশ ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

কাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব?

আসছে কুরবানীর ঈদ। এর মধ্যে আমাদের এই প্রতিবেদনা রয়েছে কুরবানী ফরজ নাকি ওয়াজিব সে বিষয়ে সম্পর্কে। এখন পর্যন্ত অনেকেই জানেন না যে এই কুরবানী করা মূলত কি। আর কাদের ওপর মূলত কুরবানী করা ফরজ হয়েছে এই সকল বিষয় তুলে ধরা হবে। যাতে করে সবাই সঠিক নিয়মে কোরবানির করতে পারেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হন। প্রতিবেদন নিয়েই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল।

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বড় উৎসব হচ্ছে এই ঈদুল আযহা। মূলত জিলহজ মাসে এই ঈদুল আযহা উদযাপন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বিশ্বে 2025 সালের ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে ঈদুল আযহা। এখানে ঈদের নামাজের পাশাপাশি আর রয়েছে তার একটি বড় ইবাদাত। মূলত এটি হচ্ছে কুরবানী করা। আর যাদের ওপর এটি ওয়াজিব হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই একটি আদায় করতে হবে। হযরত ইব্রাহিম ( আঃ ) এর সময় থেকে এই কুরবানীর প্রচলন এসেছে এবং তখন থেকে মানুষ কুরবানী শুরু করেছেন। আর এটি করা হয়ে থেকে মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি রহমত এবং নেয়ামতের জন্য। বেশ কয়েকটি হাদিস থানায় গিয়ে এসেছে কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের জন্য একটি করে সোয়াব দিবেন মহান আল্লাহতালা। আর এই রহমত এবং নেয়ামতের আশায় মানুষ কুরবানী করে থাকেন।

শুধু ঈদুল আযহার সময় কবুল করা হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুরবানী করতে হবে মুমিন ব্যক্তিদের। তবে এই কোরবানির সবার জন্য ফরজ নাকি ওয়াজিব সে বিষয়টি অনেকেরই এখন পর্যন্ত জানা নেই। আমাদের এই প্রতিবেদন জানলে এই বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন।

কুরবানী ফরজ নাকি ওয়াজিব

মাঠের মধ্যে অনেক মুসলমানরাই জানে না এটি কি ওয়াজিব নাকি ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত এটি একটি ওয়াজিব। ঈদুল আযহার নামাজ যেমন ওয়াজিব ঠিক তেমন ভাবে এর কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে এটি সবার জন্য ওয়াজিব নয় নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কিংবা নির্দিষ্ট সামর্থ্যের লোকদের ওপর ওয়াজিব করা হয়েছে। কাদের উপর ওয়াজিব করা হয়েছে সে বিষয়ে তুলে ধরা হবে। আমরা যাদের ওয়াজিব হয়েছে তারা অবশ্যই এই ওয়াজিব কাজটি আদায় করে নেব। এখন আমরা জানবো কাদের উপর এটি ওয়াজিব হয়েছে।

কাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব?

এটি তাদের ওপর ওয়াজিব করা হয়েছে যাদের ১২ ই জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে নিসাব পরিমানে সম্পত্তির মালিক রয়েছেন। তাদের উপরে এটি ওয়াজিব করা হয়েছে। আর এই হিসাব পরিমান সম্পত্তির নির্ভর করে দৈনন্দিন জীবনের খরচ ও চাহিদার পর। অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনের খরচ ও চাহিদা মিটিয়ে হিসাব পরিমানের সম্পদের মালিক হলেই তার উপর কোরবানি ওয়াজিব। আবারা অনেক বিজ্ঞ আলেমরা বলছেন যাদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে তাদের ওপর কুরবানীও ওয়াজিব হয়েছে। মূলত এটি হিসাবের ক্ষেত্রে ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নিসাব পরিমান সম্পত্তি কতটুকু

এক নিসাব পরিমান সম্পত্তি বোঝানো হয়ে থাকে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের সমপরিমাণ। মূলত ইসলামে বিভিন্ন ধরনের সম্পদের পরিমাণ বা একক হিসেবে স্বর্ণ ধরা হয়ে থাকে। যাদের এই পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তারাই অর্থাৎ তাদের উপরেই কুরবানী ওয়াজিব করা হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনারা আপনাদের সম্পত্তি হিসাব করে কুরবানী আপনাদের উপর ওয়াজিব হয়েছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নেবেন এবং কুরবানী আদায় করবেন। যদি ওয়াজিব হওয়া সত্বেও কোন কারণে কোরবানি আদায় করতে না পারেন তাহলে কুরবানী করার পশুর সওয়াবের পরিমাণ সম্পত্তি কিংবা অর্থ সদকা হিসেবে দান করতে পারেন। এমনটাই নিয়ম রয়েছে।

এই ছিল কুরবানী ফরজ নাকি ওয়াজিব সে বিষয় সম্পর্কে তথ্য। একই সঙ্গে আপনারা জানতে পেরেছেন তাদের ওপর কুরবানী ওয়াজিব করা হয়েছে সে বিষয়েও। আশা করি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং আমরা খুব শীঘ্রই কুরবানী পশু কেনার জন্য যে নিয়ম তা তুলে ধরবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব?

আপডেট সময় : ১২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

আসছে কুরবানীর ঈদ। এর মধ্যে আমাদের এই প্রতিবেদনা রয়েছে কুরবানী ফরজ নাকি ওয়াজিব সে বিষয়ে সম্পর্কে। এখন পর্যন্ত অনেকেই জানেন না যে এই কুরবানী করা মূলত কি। আর কাদের ওপর মূলত কুরবানী করা ফরজ হয়েছে এই সকল বিষয় তুলে ধরা হবে। যাতে করে সবাই সঠিক নিয়মে কোরবানির করতে পারেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হন। প্রতিবেদন নিয়েই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল।

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বড় উৎসব হচ্ছে এই ঈদুল আযহা। মূলত জিলহজ মাসে এই ঈদুল আযহা উদযাপন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বিশ্বে 2025 সালের ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে ঈদুল আযহা। এখানে ঈদের নামাজের পাশাপাশি আর রয়েছে তার একটি বড় ইবাদাত। মূলত এটি হচ্ছে কুরবানী করা। আর যাদের ওপর এটি ওয়াজিব হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই একটি আদায় করতে হবে। হযরত ইব্রাহিম ( আঃ ) এর সময় থেকে এই কুরবানীর প্রচলন এসেছে এবং তখন থেকে মানুষ কুরবানী শুরু করেছেন। আর এটি করা হয়ে থেকে মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি রহমত এবং নেয়ামতের জন্য। বেশ কয়েকটি হাদিস থানায় গিয়ে এসেছে কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের জন্য একটি করে সোয়াব দিবেন মহান আল্লাহতালা। আর এই রহমত এবং নেয়ামতের আশায় মানুষ কুরবানী করে থাকেন।

শুধু ঈদুল আযহার সময় কবুল করা হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুরবানী করতে হবে মুমিন ব্যক্তিদের। তবে এই কোরবানির সবার জন্য ফরজ নাকি ওয়াজিব সে বিষয়টি অনেকেরই এখন পর্যন্ত জানা নেই। আমাদের এই প্রতিবেদন জানলে এই বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন।

কুরবানী ফরজ নাকি ওয়াজিব

মাঠের মধ্যে অনেক মুসলমানরাই জানে না এটি কি ওয়াজিব নাকি ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত এটি একটি ওয়াজিব। ঈদুল আযহার নামাজ যেমন ওয়াজিব ঠিক তেমন ভাবে এর কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে এটি সবার জন্য ওয়াজিব নয় নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কিংবা নির্দিষ্ট সামর্থ্যের লোকদের ওপর ওয়াজিব করা হয়েছে। কাদের উপর ওয়াজিব করা হয়েছে সে বিষয়ে তুলে ধরা হবে। আমরা যাদের ওয়াজিব হয়েছে তারা অবশ্যই এই ওয়াজিব কাজটি আদায় করে নেব। এখন আমরা জানবো কাদের উপর এটি ওয়াজিব হয়েছে।

কাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব?

এটি তাদের ওপর ওয়াজিব করা হয়েছে যাদের ১২ ই জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে নিসাব পরিমানে সম্পত্তির মালিক রয়েছেন। তাদের উপরে এটি ওয়াজিব করা হয়েছে। আর এই হিসাব পরিমান সম্পত্তির নির্ভর করে দৈনন্দিন জীবনের খরচ ও চাহিদার পর। অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনের খরচ ও চাহিদা মিটিয়ে হিসাব পরিমানের সম্পদের মালিক হলেই তার উপর কোরবানি ওয়াজিব। আবারা অনেক বিজ্ঞ আলেমরা বলছেন যাদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে তাদের ওপর কুরবানীও ওয়াজিব হয়েছে। মূলত এটি হিসাবের ক্ষেত্রে ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নিসাব পরিমান সম্পত্তি কতটুকু

এক নিসাব পরিমান সম্পত্তি বোঝানো হয়ে থাকে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের সমপরিমাণ। মূলত ইসলামে বিভিন্ন ধরনের সম্পদের পরিমাণ বা একক হিসেবে স্বর্ণ ধরা হয়ে থাকে। যাদের এই পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তারাই অর্থাৎ তাদের উপরেই কুরবানী ওয়াজিব করা হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনারা আপনাদের সম্পত্তি হিসাব করে কুরবানী আপনাদের উপর ওয়াজিব হয়েছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নেবেন এবং কুরবানী আদায় করবেন। যদি ওয়াজিব হওয়া সত্বেও কোন কারণে কোরবানি আদায় করতে না পারেন তাহলে কুরবানী করার পশুর সওয়াবের পরিমাণ সম্পত্তি কিংবা অর্থ সদকা হিসেবে দান করতে পারেন। এমনটাই নিয়ম রয়েছে।

এই ছিল কুরবানী ফরজ নাকি ওয়াজিব সে বিষয় সম্পর্কে তথ্য। একই সঙ্গে আপনারা জানতে পেরেছেন তাদের ওপর কুরবানী ওয়াজিব করা হয়েছে সে বিষয়েও। আশা করি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং আমরা খুব শীঘ্রই কুরবানী পশু কেনার জন্য যে নিয়ম তা তুলে ধরবো।