বাংলাদেশ ০৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত

ইসলামিক বিষয়ক আলোচনায় আজকে আমাদের প্রতিবেদনে রয়েছে শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত নিয়ে। চলেন তাহলে দেরি না করে আমরা এই রোজার সম্পর্কে জানি এবং বিভিন্ন তথ্য গুলো উপস্থাপন করে আপনাদের সামনে। যাতে করে আপনারাও এই ফজিলত সম্পর্কে জেনে রোজা রাখতে পারেন এবং বিশাল আমলের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।

শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম

মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার ‌ জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন ফরজ করে দিয়েছে ঠিক রমজানের সময় ৩০টি কিংবা ২৯ টি রোজা ফরজ করে দিয়েছেন
মূলত রমজান মাস যদি‌ ৩০টি হয় অর্থাৎ ৩০ দিনে হয় তাহলে রোজা ৩০ টি অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি রমজান মাস ২৯ দিনে হয় তাহলে এই রমজান হবে 29 টি। আর সুস্থ সকল মানুষের জন্য এবং নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বাদে সবার ওপরে রোজা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। যারা অসুস্থ কিংবা মুসাফির তাদের রোজা না রাখলে পরবর্তী সময় তা অবশ্যই আদায় করে নিতে হবে। অর্থাৎ এটি কোন না কোন সময় আদায় করে নিতে হয়।

যেমন প্রতি বছরের মত ২০২৫ সালে রমজান অনুষ্ঠিত হয়েছে 29 দিনের তাই 29 টি রোজা করতে হয়েছে বাংলাদেশে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময় সূর্য উদয় কিংবা রমজানের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ টি কিংবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। আমাদের দেশে ২৯ টি রমজান হয়েছে এবং ৩০ তম দিনে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। আর এই নিয়মকানুন অর্থাৎ রমজান কত তারিখে শুরু হবে এবং রমজান কত তারিখে শেষ হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপরে। তবে যাই হোক আমরা শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে এখন জানবো।

শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত

মহান আল্লাহ তালা রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ করে দিয়েছেন। কিন্তু এ রমজান মাসের পর চলে আসে শাওয়াল মাস। আর এই শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা করার জন্য বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি মূলত অর্থাৎ শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা ফরজ নয় কিন্তু এটি হচ্ছে সুন্নত। আর এ রয়েছে অনেক বেশি আমল এবং ফজিলত যার মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তি অনেক সওয়াবের অধিকারী হবেন আর মহান আল্লাহতালা অনেক রহমত এবং নেয়ামত দান করবেন এমনটাই বেশ কিছু হাদিস থেকে পাওয়া গিয়েছে। এখন আমরা এই নিয়ামত এবং ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব।

হাদিসে রয়েছে যে ব্যক্তি রমজানের সময় ৩০ টি রোজা পালন‌ করেছে এবং শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রেখেছে সে ব্যক্তি যেন সারা বছর রোজা রেখেছে। আরো বেশ কয়েকটি হাদিস থেকে জানা গিয়েছে যারা রমজানের দৃষ্টি রোজার পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা করে সে পুরো বছরের রোজা রাখার সব পেল। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর শাওয়াল মাসের রোজা রাখার জন্য বলেছেন। কারণ এ সময় বেশি সওয়াব এবং রহমত পাওয়া যায়। আর অনেকেই বলেন রমজানের সময় সবকিছু ১০ গুণ পাওয়া যায় এবং রোজার ক্ষেত্রেও তা হয়। তাই রমজান মাসের ৩০ টি রোজা এবং শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা মোট হয় ৩৬ টি রোজা। তাহলে ৩৬x১০ সমান সমান ৩৬০ দিন। অর্থাৎ এক বছর ৩৬৫ দিন হয় তার মধ্যে ৩৬০ দিনে রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। এভাবেই অনেকেই বলে থাকেন।

এটাই ছিল শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত। এছাড়াও রয়েছে আরো নানা ধরনের রহমত এবং নেয়ামত এই রোজা রাখার‌ কারণে। হাজার ২৫ সালে মার্চের ৩০ তারিখের শেষ হয়েছে রমজান মাস এবং ৩১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে শাওয়াল মাস। ভাই আপনারা এ মাসের মধ্যেই এই ছয়টি রোজা রাখার চেষ্টা করবেন বিশেষ করে প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত

আপডেট সময় : ০২:১৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামিক বিষয়ক আলোচনায় আজকে আমাদের প্রতিবেদনে রয়েছে শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত নিয়ে। চলেন তাহলে দেরি না করে আমরা এই রোজার সম্পর্কে জানি এবং বিভিন্ন তথ্য গুলো উপস্থাপন করে আপনাদের সামনে। যাতে করে আপনারাও এই ফজিলত সম্পর্কে জেনে রোজা রাখতে পারেন এবং বিশাল আমলের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।

শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম

মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার ‌ জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন ফরজ করে দিয়েছে ঠিক রমজানের সময় ৩০টি কিংবা ২৯ টি রোজা ফরজ করে দিয়েছেন
মূলত রমজান মাস যদি‌ ৩০টি হয় অর্থাৎ ৩০ দিনে হয় তাহলে রোজা ৩০ টি অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি রমজান মাস ২৯ দিনে হয় তাহলে এই রমজান হবে 29 টি। আর সুস্থ সকল মানুষের জন্য এবং নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বাদে সবার ওপরে রোজা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। যারা অসুস্থ কিংবা মুসাফির তাদের রোজা না রাখলে পরবর্তী সময় তা অবশ্যই আদায় করে নিতে হবে। অর্থাৎ এটি কোন না কোন সময় আদায় করে নিতে হয়।

যেমন প্রতি বছরের মত ২০২৫ সালে রমজান অনুষ্ঠিত হয়েছে 29 দিনের তাই 29 টি রোজা করতে হয়েছে বাংলাদেশে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময় সূর্য উদয় কিংবা রমজানের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ টি কিংবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। আমাদের দেশে ২৯ টি রমজান হয়েছে এবং ৩০ তম দিনে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। আর এই নিয়মকানুন অর্থাৎ রমজান কত তারিখে শুরু হবে এবং রমজান কত তারিখে শেষ হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপরে। তবে যাই হোক আমরা শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে এখন জানবো।

শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত

মহান আল্লাহ তালা রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ করে দিয়েছেন। কিন্তু এ রমজান মাসের পর চলে আসে শাওয়াল মাস। আর এই শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা করার জন্য বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি মূলত অর্থাৎ শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা ফরজ নয় কিন্তু এটি হচ্ছে সুন্নত। আর এ রয়েছে অনেক বেশি আমল এবং ফজিলত যার মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তি অনেক সওয়াবের অধিকারী হবেন আর মহান আল্লাহতালা অনেক রহমত এবং নেয়ামত দান করবেন এমনটাই বেশ কিছু হাদিস থেকে পাওয়া গিয়েছে। এখন আমরা এই নিয়ামত এবং ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব।

হাদিসে রয়েছে যে ব্যক্তি রমজানের সময় ৩০ টি রোজা পালন‌ করেছে এবং শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রেখেছে সে ব্যক্তি যেন সারা বছর রোজা রেখেছে। আরো বেশ কয়েকটি হাদিস থেকে জানা গিয়েছে যারা রমজানের দৃষ্টি রোজার পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা করে সে পুরো বছরের রোজা রাখার সব পেল। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর শাওয়াল মাসের রোজা রাখার জন্য বলেছেন। কারণ এ সময় বেশি সওয়াব এবং রহমত পাওয়া যায়। আর অনেকেই বলেন রমজানের সময় সবকিছু ১০ গুণ পাওয়া যায় এবং রোজার ক্ষেত্রেও তা হয়। তাই রমজান মাসের ৩০ টি রোজা এবং শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা মোট হয় ৩৬ টি রোজা। তাহলে ৩৬x১০ সমান সমান ৩৬০ দিন। অর্থাৎ এক বছর ৩৬৫ দিন হয় তার মধ্যে ৩৬০ দিনে রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। এভাবেই অনেকেই বলে থাকেন।

এটাই ছিল শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত। এছাড়াও রয়েছে আরো নানা ধরনের রহমত এবং নেয়ামত এই রোজা রাখার‌ কারণে। হাজার ২৫ সালে মার্চের ৩০ তারিখের শেষ হয়েছে রমজান মাস এবং ৩১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে শাওয়াল মাস। ভাই আপনারা এ মাসের মধ্যেই এই ছয়টি রোজা রাখার চেষ্টা করবেন বিশেষ করে প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই।