Android ও Tizen ও WebOs কোন প্রযুক্তির টিভি ভালো?
- আপডেট সময় : ০২:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে এন্ড্রয়েড, টাইজেন এবং ওয়েবওএস তিনটিই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন স্মার্ট ডিভাইসের মধ্যে এই তিনটি জিনিস বিশেষভাবে বিল্ট ইন আকারে তৈরি করা থাকে যাতে করে একজন গ্রাহক এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশনের সমস্ত ফিচারস গুলো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারেন। আজকের লেখায় আমরা জানবো এন্ড্রোয়েড টিভি, টাইজেন টিভি এবং ওয়েবওএস টিভি তিনটি প্রযুক্তি সম্পর্কে, সেই সাথে এটিও জেনে নিবো কোন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম এর কি কাজ এবং কোনটি ব্যবহারের জন্যে বিশেষভাবে উপযোগী। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
এন্ড্রোয়েড / টাইজেন / ওয়েবওএস কোনটি বিশেষ উপযোগী?
এন্ড্রোয়েড, টাইজেন, ওয়েবওএস টিভির তিন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমই সমস্ত ধরনের স্মার্ট ডিভাইসের জন্যে বিশেষ উপযোগী। নিচে কোনটি কোন কাজের ব্যবহারের জন্যে বিশেষ উপযোগী। চলুন জেনে নেই-
১. এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সুবিধা
এন্ড্রোয়েড অপারেটিং সিস্টেম মূলত একটি টিভিকে বিশেষ কাজ করার জন্য অনুমতি প্রদান করে। কম্পিউটারে যেমন উইন্ডোজ, উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, ম্যাক ইত্যাদি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তেমনিভাবে, টিভিকে স্মার্ট ও আধুনিক করতে এন্ড্রোয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিশেষ ভুমিকা পালন করে। মোবাইল ফোনের মতো এন্ড্রোয়েড টিভিতে সকল কাজ করা যায় সহজেই। বর্তমানে সকল ব্র্যান্ডই এন্ড্রোয়েড টিভি তৈরি করছে সাথে এর চাহিদাও দিনে দিনে বেরে চলেছে। কম দামের মধ্যে এন্ড্রোয়েড টিভি হবে বেস্ট সিলেকশন। দাম তুলনা করে যে কোন ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড টিভি বিডিস্টল এর ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারবেন ।
এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ধরনের অংশ রয়েছে যেগুলোর কাজ হচ্ছে মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জেনে জিপিএস স্যাটেলাইটগুলোর সহজেই অবস্থান নির্ণয় করা, Exe. ফাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করা, এন্ড্রোয়েড APK ফাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যার এ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করা, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে এন্ড্রয়েড ফোনকে সংযোগ করে ও কমান্ড পাঠায়, এটি এন্ড্রয়েডের ওপেন সোর্স ডেভেলপ এবং কাস্টমাইজেশনের জন্যে বিভিন্ন সেটের উপযুক্ত কাস্টম রমও ডেভোলপড করে থাকে ইত্যাদি।
২. টাইজেন অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা
টাইজেন অপারেটিং সিস্টেমও অন্যান্য সকল অপারেটিং সিস্টেম থেকে এক ধাপ এগিয়ে। এই অপারেটিং সিস্টেমটি অন্যান্য সিস্টেম থেকে বেশ এগিয়ে কেননা, এটি অনেক বেশি লাইটওয়েট এবং কার্যকর, সেই সাথে এখানে আরও পাচ্ছেন কাস্টমাইজড ওএস যা দিয়ে আপনি আপনার সুবিধামতো হার্ডওয়্যার এবং ডিভাইসকেও ফ্লেক্সিব্যালভাবে তৈরি করতে পারবেন। সেই সাথে এই অপারেটিং সিস্টেমটিতে পাচ্ছেন আইওটি ইন্টিগ্রেশন যার অর্থ এতে যে সমস্ত ডিভাইস এবং এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহৃত হবে তা সবসময়ই দ্রতগতির, উন্নততর হবে। এটির ব্যাটারি লাইফও হবে বেশ কেননা, এই অপারেটিং সিস্টেমের ব্যাটারি এফিসিয়েন্সি ও বেশ, সেই সাথে থাকছে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেইস, স্যামসাং ইকোসিস্টেম, প্রি-ইন্সটলড সফটওয়্যার এর সুবিধা সহ আরও বেশ কয়েকটি ফিচার।
৩. ওয়েব ওএস অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা
ওয়েব ওএস অপারেটিং সিস্টেমটিও অন্যান্য সকল এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম থেকে আলাদা এবং উন্নত। এটি মূলত এলজির তৈরি একটি বিশেষ অপারেটিং সিস্টেম যা বিভিন্ন স্মার্ট টেকনোলজিক্যাল ডিভাইস গুলোতে পাওয়া যায় যেমন স্মার্ট টেলিভিশন, স্মার্ট মোবাইল, স্মার্ট সব ডিভাইস গুলোতে বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এই অপারেটিং সিস্টেমটির বিশেষ সব সুবিধা হচ্ছে:
- এটি দিয়ে আপনি মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন
- গেস্টারের সুবিধা
- ওয়েব এ্যাপ্লিকেশনের সুবিধা
- এ্যাপ স্টোরের সুবিধা
- ওভার দি এয়ার আপডেটিং এর সুবিধা
- সার্ভিস ডিসকভারির সুবিধা
- ওপেন সোর্সের সুবিধাসহ আরও বিশেষ বিশেষ সব সুবিধা।
কোন অপারেটিং সিস্টেমটি বিশেষ সুবিধাযুক্ত?
উপরের তিনটি অপারেটিং সিস্টেমরই বিশেষ বিশেষ কাজ রয়েছে। প্রতিটির কাজই আলাদা এবং প্রত্যেকটি অপারেটিং সিস্টেমও তাদের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বেশি এগিয়ে। এদের সবগুলো অপারেটিং সিস্টেমই আপনি আপনার সুবিধার্থে সমস্ত জায়গায়ই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বর্তমানে উপরের তিনটি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে এন্ড্রোয়েড অপারেটিং সিস্টেমটিই অন্যান্য সকল অপারেটিং সিস্টেম থেকে বেশি এগিয়ে। এটি বর্তমানে স্মার্ট টিভিসহ, মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম হিসাবেও বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি, এটি অন্যান্য সকল অপারেটিং সিস্টেম থেকে অনেক বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং বেশি সুবিধাযুক্ত ফিচার সম্পূর্ণ। বাকি টাইজেন এবং ওয়েবওএস ও অন্যান্য সকল অপারেটিং সিস্টেম এর মতোই ভালো এবং উন্নততর। তবে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটিই ডিজিটাল ডিভাইস হিসাবে বেশি পপুলার।