২০২৫ পাঠ্যপুস্তকের মেয়ে গল্প নিয়ে মন্তব্য আসিফ মাহতাব
- আপডেট সময় : ০৬:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩০০ বার পড়া হয়েছে
এবার ২০২৫ পাঠ্যপুস্তকের মেয়ে গল্প নিয়ে আপত্তি করেছেন আসিফ মাহাতাব। কি কারনে তিনি আপত্তি করেছেন এবং এই গল্পে কি কি রয়েছে তা দিয়েই এখন আলোচনা করা হচ্ছে। যাতে করে এই বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ একটি ধারণা পান আপনারা।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানার পূর্বে আমরা জানবো বিগত বছর আগের একটি ঘটনা। আজ থেকে প্রায় এক বছর আগে এই সময় এমন একটি বিষয় নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যটা ছিল সপ্তম শ্রেণীর একটি পাঠ্যপুস্তক বইয়ের গল্প নিয়ে। অর্থাৎ ওই বইয়ের ট্রান্সজেন্ডার নামের একটি গল্প ছিল। যা ছিল রহিম থেকে রহিমা হওয়ার গল্প। যা ইসলামিক দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং আমাদের দেশেও অনুমোদিত নয়। এই বিষয়টি একটি গল্প লেখা হয়েছিল পাঠ্যপুস্তক বইয়ে।
এ বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা উভয় হয়েছিল। এরপর এ বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরো আলোচনা হয়েছিল। এটি আসিফ মাহাতাব সবার সামনে তুলে ধরেছিলেন। এর জন্য তাকে নাকি চাকরি যুদ্ধ হতে হয়েছিল ব্র্যাক ইউনিভার্স ইউনিভার্সিটি থেকে। এখন আমরা আজকের ঘটনায় চলে যাব।
২০২৫ পাঠ্যপুস্তকের মেয়ে গল্প নিয়ে মন্তব্য আসিফ মাহতাব
চিলি ইসলামিক কালচারাল ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত একটি প্রোগ্রামে বক্তব্য প্রদান করেন। আর সেখানে তিনি বলেন এই নবম শ্রেণীর মেয়ে গল্প সম্পর্কে। একই সঙ্গে বলেন তিনি যখন আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারি তখন মানসিকভাবে আহত হই। এই কারণেই কি আমি জেল খেটেছিলাম এবং মার খেয়েছি। আমি কখনো খারাপ ভাষা ব্যবহার করিনি এবং কোন বাজে শব্দ ব্যবহার করিনি। আমার পরিবার আমাকে এই শিক্ষা দেয় নি। এ জীবনে আমি প্রথম খারাপ শব্দ ব্যবহার করছি, কেননা আমাদের এই সরকার পাঠ্য বস্তুর বই সংস্কারের একটি কমিটি করেছেন। আর এই কমিটি একটি গল্প সংযোজন করতে যাচ্ছেন। আর সেই গল্পটির নাম হচ্ছে মেয়ে।
অর্থাৎ ২০২৫ পাঠ্যপুস্তকের মেয়ে গল্প নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। এই গল্পে মাতার মেয়েকে বলছেন ” রবিবারে ভালোভাবে হেঁটে যাবে, যাতে করে তুমি যে খারাপ না, সেটা হতে চাও, তুমি যেন সেটা না হতে পারো।” তিনি আরো ক প্রকাশ করে বলেছেন এই গল্পটা আমাদের সাহিত্য বা নবম শ্রেণীর বইতে থাকা কতটা প্রয়োজন। আমরা আন্দোলন করেছিলাম ইসলামের জন্য, আমাদের সংস্কৃতিতে ইসলামের যে মূল্যবোধ সে বিষয়টি যাতে রাখা হয়ে থাকে। আমাদের প্রিয় নবী এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করে কোন গল্প বা শিক্ষা আমাদের দিয়েছিল কি? আর কোরআনে কি এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে? ঠিক একই গল্পের আরেক জায়গায় বলা হয়েছে বা তার মেয়েকে বলছে এই ওষুধটা এমনভাবে বানাতে হবে। যে কারণে বাচ্চা সৃষ্টি হওয়ার আগে তোমরা ফেলে দিতে পারো। এই গল্পটি দিয়েই তারা এসেছে আর এ কি আবু সাঈদ শহীদ হয়েছেন?
আমরা কি সত্যিই চেষ্টা করেছি প্রতিটি কমিটিতে একজন আলেম রাখার জন্য? শুধুমাত্র দাবি তুললে হবে না এবং আন্দোলন তো আমরাই করেছিলাম, আমি চাই আরো আপনারা একটু চিন্তা করেন আমাদের সংস্কৃতির সাথে এ ধরনের গল্প যাবে কি না। একই সঙ্গে তিনি আরো বলেছেন আমাদের এই আন্দোলনের সব মতাদর্শের মানুষ আন্দোলন করেছেন। অধিকাংশ মানুষ শহীদ হয়েছেন, কেউবা হাসপাতালে রয়েছেন। তাদের চিন্তাধারা ছিল ইসলামিক এবং ইসলাম কথাটা যত আদালতের সাথে জড়িত এই কথাটা মানুষ আস্তে আস্তে পৌঁছে দিতে চায়। এ বিষয় নিয়ে তিনি থেকো একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছে।
২০২৫ পাঠ্যপুস্তকের মেয়ে গল্প নিয়ে মন্তব্য আসিফ মাহতাব এর কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বিস্তারিত আপনারা youtube থেকে দেখে নিতে পারেন।