দ্বিতীয় দিনের মত আজকে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাট ডাউন। আর এ বিষয়ে অনেকেরই জানা রয়েছে আবার জানা নেই। যারা জানেন না তারা এই প্রতিবেদন থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের অন্যতম একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যা ঢাকাতে অবস্থিত। এখানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন এবং রয়েছে প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যারা এ কাজে সরাসরি নিয়োজিত আছে এবং বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। আজকে আমরা এর সাম্প্রতিক সময় কিছু ঘটনা ঘটেছে সে বিষয় সম্পর্কে জানব। এখানে ভর্তি হওয়ার কিছু ধাপ সম্পর্কে নিব।

এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখানে পড়াশোনার মান অত্যন্ত উন্নত এবং আধুনিক। একই সঙ্গে পরিবেশের মান আরো উন্নত করা হচ্ছে যার কারণে শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ। এখানে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি হতে হয়। এজন্য আবেদনের পূর্বে তাদের অনুসারে আবেদন যোগ্যতা দেখে নিতে হবে। তাদের এই আবেদন যোগ্যতা থাকবে তারাই কেবলমাত্র আবেদন করতে পারবে এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই চূড়ান্তভাবে ভর্তি হতে পারবেন। কেননা এখানে আসন সংখ্যা ও অন্যান্য বিষয়গুলো নির্দিষ্ট।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন চলছে

গতকাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন কার্যক্রমে চলমান আছে। সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কি কারণে এমন কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে তা অনেকের জানা নেই এখন পর্যন্ত। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে তারা তিনটি দাবি নিয়ে এই শাটডাউন দেখেছেন। আসুন নিচে থেকে দেখে নেই তাদের এই দাবি কি কি।

১। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এর কাজ অবশ্যই হস্তান্তর চুক্তি অতিলম্বে স্বাক্ষর করা লাগবে।

২। পুরান ঢাকা বাণী ভবন এবং ডঃ হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ অতি দ্রুত শুরু এবং তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।

৩। যতদিন আবাসন ব্যবস্থা না হবে ততদিন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা নিশ্চিত করা লাগবে।

মূলত উপরের এই দাবিতেই তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। জানা গেছে তিন দফা এই দাবিতে ৩১ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর আজকে সোমবার সকাল থেকে কমপ্লিট শাট ডাউন ঘোষণা করেছেন তারা। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, প্রশাসনিক ভবন এবং বিভিন্ন অনুসাদের ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। গত রবিবার রাত থেকে এ গণ অনশন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। একই সঙ্গে কয়েকজন ইতিমধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে। জানা গিয়েছে ১৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন এই অনুষ্ঠানের কারণে।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন বিকেল চারটার মধ্যে যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না আসে। তাহলে তারা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করবেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পক্ষ অনশন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের এই গণ অনশন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন পক্ষে একমত পোষণ করেছেন শিক্ষক কর্তৃপক্ষরা।

আরোঃ বাংলাদেশ ব্যাংক নোটিশ বোর্ড