গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে মেডিকেল ভর্তি কোটা বাতিল দাবির আন্দোলন। থেকেই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চলুন‌ এখন আমরা এই বিষয় সম্পর্কে জেনে নেই কি কারণে আবার তাদের এই দাবি এবং তাদের দাবি কি কি সে বিষয় সম্পর্কে।

তাদের এই দাবি বা আন্দোলন সম্পর্কে জানার পূর্বে আমরা জেনে নেই একটু ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে। শুধুমাত্র এই দাবি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে এমনটা নয়। বাংলাদেশের যতগুলো সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে এই সকল প্রতিষ্ঠানে যে ভর্তি প্রক্রিয়া সে ক্ষেত্রেই। বাংলাদেশের মোট ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং ৬৭ টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এ সকল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে নির্দিষ্ট যোগ্যতা ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদেরকে এখানে ভর্তি আবেদন করা লাগে। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয় তারাই ভর্তি হতে পারেন। এখানে নেগেটিভ মার্ক রয়েছে। ১০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মেডিকেল ভর্তি কোটা বাতিল দাবির আন্দোলন

প্রত্যেকবারের মতো এবারও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করা হয়। এ ভর্তির বিপরীতে শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন এবং গত ১৭ই জানুয়ারিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আরে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। আর এর ফলাফল প্রকাশিত করা হয় গত ২০ জানুয়ারি রোজ রবিবার বিকেল পাঁচটার সময়। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর চারদিকে এর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে থাকে।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৯০.৭৫ নাম্বার নিয়ে প্রথম হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। এদিকে গত রবিবার রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে জমায়েত হন। আর সেখানে তারা দাবি করেন মেডিকেল ভর্তি ‌ কোটা বাতিল করার জন্য। কারণ এই বৈষম্যতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে ফেলে। আর এই কোটা দূর করার জন্যই আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন আর অনেকেই আহত হয়েছেন। সেই কোটা ভর্তির ক্ষেত্রে এখনো বহাল রয়েছে।

এই কোটা পদ্ধতি যেন দ্রুত বাদ দেওয়া হয় এমনটাই দাবি করছেন তারা। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থী বলেছেন যে ৭০ নম্বর পেয়েও অনেকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে যারা কোটা সুবিধার্থী যারা তারা তুলনামূলকভাবে কম নম্বর পেয়ে এখানে সুযোগ পাচ্ছেন। আর এ প্লাটফর্মে এ বিষয়টি যেন না থাকে তাই তাদের দাবি হচ্ছে এটি। সবাই মেধার ভিত্তিতে যেন এখানে ভর্তি হতে পারেন।

এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। আস্তে আস্তে প্রাঙ্গণ অনেক ভিড় হয়ে ওঠে। মেডিকেল ভর্তি কোটা বাতিল দাবির এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত তাদের পক্ষ থেকে একটি বার্তা আসবে।