রমজান মাসে দান করার ফজিলত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ২২০ বার পড়া হয়েছে

রমজান মাসে দান করার ফজিলত

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আপনারা যারা রমজান মাসের দান করার ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আমাদের এই প্রতিবেদনটি হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ সময় বেশি বেশি দান করলে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি রহমত এবং নেয়ামত বেশি দিয়ে থাকেন।

রমজান মাসে সহবাস করার নিয়ম

অনেকেই আমাদের কাছে এই প্রশ্ন করে থাকেন। যে এ বিষয়টি করার ক্ষেত্রে ইসলামিক কি বিধান রয়েছে এবং কোন কোন সময় করা যাবে সে বিষয় সম্পর্কে। রমজানের সময় সকল প্রকার পানাহার বন্ধ থাকতে হবে সেহরি সময়ের পর থেকে ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। এ সময় পানাহার নয় স্বামী স্ত্রীর সহবাস করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। এমনটাই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইসলাম ধর্মে। কয়েকটি হাদিস থেকেও সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও কখন কখন পড়তে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।

শুধু এই বিষয়ের ভিতর সীমাবদ্ধ নয়, যদি কেউ এ সময়ের ভিতরে রমজান মাসে সহবাস করায় লিখতে হন তাহলে সে ক্ষেত্রে তাদের রোজা ভঙ্গ হবে এবং পাপ হবে। কেননা তাদের জন্য রোজা রাখার পর ইফতারের পর এটি হালাল করা হয়েছে। তাই এ সময় সংযত থাকতে হবে এবং রমজান শুদ্ধভাবে পালন করতে হবে। কারো যদি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকে আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ করবেন আমরা তা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

রমজান মাসে দান করার ফজিলত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন এই সময় বেশি বেশি করে দান সদকা করতে। কারণ তিনি সবার থেকে এই সময়ে বেশি দান সতর্ক করতেন এবং সবাইকে দান করার জন্য উৎসাহী করতেন। একটি হাদিসে এসেছে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন হে আদম সন্তান তুমি দান করতে থাকো আমিও তোমাকে দান করব।

ঠিক একই বিষয় জানা গিয়েছে যে আমাকে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সাথে সাথে অন্যান্য সাহাবীরাও এই প্রচুর দান সদকা করতেন এই রমজানের সময়। আর তারা অন্যদেরকে উৎসাহিত করত। এই বিষয়ে হযরত আনাস (রা) বলেছেন আমাদের প্রিয় নবী এর চেয়ে বেশি দানশীল আমি আর কাউকে দেখিনি। আমরা জানি রমজানের সময় ভালো কাজে নাকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। তাই সকল আমলের পাশাপাশি দানসজ্ঞা করলে তা বহুগুণ বৃদ্ধি পায় এবং তাই আমাদের মানবিক তার উম্মতকে বেশি বেশি দান করার জন্য বলেছেন। তাই এই সময় অল্প দামের সওয়াব অনেক বেশি পাওয়া যায় যার কারণে বেশি বেশি দান করতে বলেছেন। যাতে বেশি সওয়াবের আশায় মানুষের দান করেন।

এই ছিল রমজান মাসে দান করার ফজিলত। এ বিষয়ে আরো জানতে হলে আপনার নিকটস্থ হুজুর কিংবা আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। যাদের যাকাত ফরজ হয়েছে তারা অবশ্যই যাকাত দিবেন আর যাদের ফিতরা খরচ হবে তাদের অবশ্যই ফিতরা আদায় করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রমজান মাসে দান করার ফজিলত

আপডেট সময় : ০৩:১৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

আপনারা যারা রমজান মাসের দান করার ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আমাদের এই প্রতিবেদনটি হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ সময় বেশি বেশি দান করলে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি রহমত এবং নেয়ামত বেশি দিয়ে থাকেন।

রমজান মাসে সহবাস করার নিয়ম

অনেকেই আমাদের কাছে এই প্রশ্ন করে থাকেন। যে এ বিষয়টি করার ক্ষেত্রে ইসলামিক কি বিধান রয়েছে এবং কোন কোন সময় করা যাবে সে বিষয় সম্পর্কে। রমজানের সময় সকল প্রকার পানাহার বন্ধ থাকতে হবে সেহরি সময়ের পর থেকে ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। এ সময় পানাহার নয় স্বামী স্ত্রীর সহবাস করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। এমনটাই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইসলাম ধর্মে। কয়েকটি হাদিস থেকেও সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও কখন কখন পড়তে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।

শুধু এই বিষয়ের ভিতর সীমাবদ্ধ নয়, যদি কেউ এ সময়ের ভিতরে রমজান মাসে সহবাস করায় লিখতে হন তাহলে সে ক্ষেত্রে তাদের রোজা ভঙ্গ হবে এবং পাপ হবে। কেননা তাদের জন্য রোজা রাখার পর ইফতারের পর এটি হালাল করা হয়েছে। তাই এ সময় সংযত থাকতে হবে এবং রমজান শুদ্ধভাবে পালন করতে হবে। কারো যদি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকে আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ করবেন আমরা তা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

রমজান মাসে দান করার ফজিলত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন এই সময় বেশি বেশি করে দান সদকা করতে। কারণ তিনি সবার থেকে এই সময়ে বেশি দান সতর্ক করতেন এবং সবাইকে দান করার জন্য উৎসাহী করতেন। একটি হাদিসে এসেছে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন হে আদম সন্তান তুমি দান করতে থাকো আমিও তোমাকে দান করব।

ঠিক একই বিষয় জানা গিয়েছে যে আমাকে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সাথে সাথে অন্যান্য সাহাবীরাও এই প্রচুর দান সদকা করতেন এই রমজানের সময়। আর তারা অন্যদেরকে উৎসাহিত করত। এই বিষয়ে হযরত আনাস (রা) বলেছেন আমাদের প্রিয় নবী এর চেয়ে বেশি দানশীল আমি আর কাউকে দেখিনি। আমরা জানি রমজানের সময় ভালো কাজে নাকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। তাই সকল আমলের পাশাপাশি দানসজ্ঞা করলে তা বহুগুণ বৃদ্ধি পায় এবং তাই আমাদের মানবিক তার উম্মতকে বেশি বেশি দান করার জন্য বলেছেন। তাই এই সময় অল্প দামের সওয়াব অনেক বেশি পাওয়া যায় যার কারণে বেশি বেশি দান করতে বলেছেন। যাতে বেশি সওয়াবের আশায় মানুষের দান করেন।

এই ছিল রমজান মাসে দান করার ফজিলত। এ বিষয়ে আরো জানতে হলে আপনার নিকটস্থ হুজুর কিংবা আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। যাদের যাকাত ফরজ হয়েছে তারা অবশ্যই যাকাত দিবেন আর যাদের ফিতরা খরচ হবে তাদের অবশ্যই ফিতরা আদায় করতে হবে।