রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আমাদের দেশে

- আপডেট সময় : ০৯:০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কতজন এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং এর লক্ষণ কি কি ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। যাতে করে আপনারা উক্ত বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ প্রতিবেদন জানতে পারেন এবং সতর্ক হতে পারেন।
সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় কয়েক হাজার রোগের লক্ষণ রয়েছে এবং তার দ্বারা মানুষ আক্রমণ হয়ে থাকে। এ সকল রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হচ্ছে ধীরে ধীরে। বর্তমান সময় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই বিভিন্ন ভাইরাস এবং রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। এমনকি কাটা ছেঁড়া ছাড়াই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হয় যা অত্যন্ত জটিল। অর্থাৎ আধুনিক জীবন ব্যবস্থাপনার কারণে অনেক বিষয়গুলো সহজ হয়ে গেছে বর্তমান সময়ে। তবে যাই হোক করোনা কালীন সময়ে সারা পৃথিবী জুড়ে দেশ জুড়ে মহামারি চলছিল। সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছে এই রোগের আক্রমণে। বাংলাদেশেও মারা গেছেন কয়েক হাজার। যার কারণে নতুন কোন ভাইরাস আসলে আমাদের মধ্যে অধিকাংশের আতঙ্ক বিরাজ করে। আমি সাম্প্রতিক সময়ে চীনের একটি ভাইরাস নিয়ে চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আমাদের দেশে
তবে এই ভাইরাস আমাদের দেশে তেমন প্রভাব ফেলে নেই। এটি ভয়াবহ বিস্তার করতে পারেনি চিনেও। যাইহোক আজকে আমরা এই রিওভাইরাস সম্পর্কে জানব। বাংলাদেশের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো এই ধরনের ভাইরাসের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা সবাই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট এক অধ্যাপক বলেছেন সম্প্রতি নিপা ও ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সর্বমোট পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান যে নতুন রোগ সৃষ্টিকারী জীবনের উপর নিয়মিত গবেষণার একটি অংশ হিসাবে নমুনাটি সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানান।
রিওভাইরাসের লক্ষণ এবং বিস্তার
এ রক্তের লক্ষণ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট হবে, মাথাব্যথা এবং বমি হতে থাকবে। একই সঙ্গে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া। নিউমেনিয়া প্রভাবের কারণে মস্তিষ্কের প্রদাহ বাড়তে পারে। শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি রোগ। আর এর বিস্তার ঘটে থাকে সাধারণত হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমে।
এ বিষয় নিয়ে তিনি আরো জানান এ ভাইরাস নিয়ে কোন আতঙ্কের কারণ নেই। কেননা এটি যথাযথ চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে যায়। অনেকেই এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে কিন্তু প্রযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে সুস্থ হন। সর্বপ্রথম রিওভাইরাস ভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। আর শীতকালীন সময়ে এর প্রভাব দেখা যায় বেশি। যাই হোক এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তাহলে কেউ আতঙ্কিত না হয়ে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব হবে। এর লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করলেই দ্রুত সুস্থ হবেন।