বাংলাদেশ ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারাবি নামাজ কত রাকাত পড়ার নিয়ম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২২৬ বার পড়া হয়েছে

তারাবি নামাজ কত রাকাত পড়ার নিয়ম

ইসলামিক বিষয় নিয়ে যেটি আমাদের এখানে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়ে থাকে। আর সে বিষয়টি হচ্ছে তারাবি নামাজ কত রাকাত। কারণ এ বিষয় নিয়ে আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি তর্ক বিতর্ক হয়ে থাকে। আর সাধারণ মুসলমানরা এ বিষয় নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকেন। তাই আজকে আমরা এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।

তারাবি নামাজের নিয়ম

প্রথমে আমরা জানবো তারাবির নামাজকে এবং তারাবির নামাজের পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে। অত তারাবি নামাজ হচ্ছে রমজানের সময় রোজা পালনের পূর্ব দিন রাতে থেকে রমজানের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করা। আরে নামাজ আদায় করা রমজানের সময় পড়তে হয়। রমজান ব্যতীত অন্য কোন সময়ে নামাজ পড়তে হয় না। শুধুমাত্র রমজানের সময় রোজার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত এই নামাজ আদায় করতে হয়।

তারাবি নামাজ হচ্ছে সুন্নত। আর এই নামাজ কত রাকাত সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে নিচের অনুচ্ছেদ গুলোতে। মূলত তারাবি নামাজ পড়তে হয় দুই রাকাত করে। প্রতি দুই রাকাত তারাবির সুন্নত নামাজের নিয়ত করে আদায় করতে হবে। এভাবে আট রাকাত ১২ রাকাত কিংবা ২০ রাকাত পড়া বেশ কয়েকটি দলিল পাওয়া গিয়েছে। আবার এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে যে খতম তারাবি নাকি সূরা তারাবি কোনটি পড়া উচিত সে বিষয়ে সম্পর্কে। মূলত যারা হাফেজ কিংবা কুরআন শরীফ রয়েছে তারা খতম তারাবি পড়বেন। কিংবা যাদের মুখস্থ তাদের পেছনে নামাজটি আদায় করতে পারেন। আর যারা পারে না তারা সূরা তারাবি পড়বেন।

তারাবি নামাজ কত রাকাত পড়ার নিয়ম

এ রমজান আসলে আমাদের দেশে যে বিষয়টি নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়ে থাকে। সে বিষয়টি হচ্ছে তারাবি কত রাকাত সে বিষয় সম্পর্কে। কেননা এ নিয়ে বিভিন্ন অনুসারীদের বেশ মন্তব্য রয়েছে। আজকে আমরা সে বিষয় সম্পর্কে জানব।

তারাবি নামাজ ২০ রাকাত পড়ার পক্ষে যারা

বিভিন্ন অনুসারে অনুসারে এখানে তারাবির নামাজে আলাদা আলাদা রাকাত পড়ার বেশ কয়েকটি মাযহাব পাড়া গেছে। যেমন মালেকি, হানাফি এবং হাম্বলী মাযহাব ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়েন। এবং তারা এ পক্ষের দলিল পেশ করেন। আমাদের দেশে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়া সংখ্যা বেশি।

তারাবি নামাজ ৮ রাকাত পড়ার পক্ষে যারা

তারাবি নামাজ কত রাকাত সে বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক বেশি হয় ৮ রাকাত নাকি ১২ রাকাত সে বিষয়ে সম্পর্কে। ৮ রাকাত পড়ার পক্ষে রয়েছে আহলে হাদিস এবং সালাফি। এছাড়াও আধুনিক ইসলামিক গবেষকরা ৮ রাকাত নামাজ পড়ার পক্ষে বিভিন্ন দলিল ও কথা বলছেন।

৩৬ রাকাত তারাবি নামাজ

সাফিয়ি মাজহাব তারা ৩৬ রাকাত নামাজের কথা বলেছেন। তবে তারা অধিকাংশ সময় ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ে থাকেন। তবে আমাদের দেশসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে এই ৩৬ রাকাত নামাজ পড়ার পরিমাণ একদমই কম।

কিন্তু এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক না করে সবাই সম্মিলিত হয়ে বিজ্ঞ আলেমদের দ্বারা আপনারা এগুলো শুনে নিবেন। এগুলো নিয়ে অনেক হাদিস এবং বিষয়বস্তু রয়েছে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। অভিজ্ঞ এবং মাওলানা দের কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে নেবেন এবং সে অনুযায়ী আমল করবেন। তবে যে রাকাত পড়েন না কেন অবশ্যই আল্লাহ তাআলার দেওয়া এবং নবীর দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজ আদায় করতে হবে। আর এই নামাজ আদায় করার নিয়ম হচ্ছে এশার নামাজের পর এবং বিতর নামাজের পূর্বে।

যারা তারাবি নামাজ কত রাকাত এ বিষয় নিয়ে তর্ক করেন। তারা দয়া করে এ বিষয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করবেন না। বিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সে অনুযায়ী চলুন। কেননা এর মাধ্যমে নিজের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তারাবি নামাজ কত রাকাত পড়ার নিয়ম

আপডেট সময় : ০৪:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইসলামিক বিষয় নিয়ে যেটি আমাদের এখানে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়ে থাকে। আর সে বিষয়টি হচ্ছে তারাবি নামাজ কত রাকাত। কারণ এ বিষয় নিয়ে আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি তর্ক বিতর্ক হয়ে থাকে। আর সাধারণ মুসলমানরা এ বিষয় নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকেন। তাই আজকে আমরা এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।

তারাবি নামাজের নিয়ম

প্রথমে আমরা জানবো তারাবির নামাজকে এবং তারাবির নামাজের পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে। অত তারাবি নামাজ হচ্ছে রমজানের সময় রোজা পালনের পূর্ব দিন রাতে থেকে রমজানের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করা। আরে নামাজ আদায় করা রমজানের সময় পড়তে হয়। রমজান ব্যতীত অন্য কোন সময়ে নামাজ পড়তে হয় না। শুধুমাত্র রমজানের সময় রোজার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত এই নামাজ আদায় করতে হয়।

তারাবি নামাজ হচ্ছে সুন্নত। আর এই নামাজ কত রাকাত সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে নিচের অনুচ্ছেদ গুলোতে। মূলত তারাবি নামাজ পড়তে হয় দুই রাকাত করে। প্রতি দুই রাকাত তারাবির সুন্নত নামাজের নিয়ত করে আদায় করতে হবে। এভাবে আট রাকাত ১২ রাকাত কিংবা ২০ রাকাত পড়া বেশ কয়েকটি দলিল পাওয়া গিয়েছে। আবার এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে যে খতম তারাবি নাকি সূরা তারাবি কোনটি পড়া উচিত সে বিষয়ে সম্পর্কে। মূলত যারা হাফেজ কিংবা কুরআন শরীফ রয়েছে তারা খতম তারাবি পড়বেন। কিংবা যাদের মুখস্থ তাদের পেছনে নামাজটি আদায় করতে পারেন। আর যারা পারে না তারা সূরা তারাবি পড়বেন।

তারাবি নামাজ কত রাকাত পড়ার নিয়ম

এ রমজান আসলে আমাদের দেশে যে বিষয়টি নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়ে থাকে। সে বিষয়টি হচ্ছে তারাবি কত রাকাত সে বিষয় সম্পর্কে। কেননা এ নিয়ে বিভিন্ন অনুসারীদের বেশ মন্তব্য রয়েছে। আজকে আমরা সে বিষয় সম্পর্কে জানব।

তারাবি নামাজ ২০ রাকাত পড়ার পক্ষে যারা

বিভিন্ন অনুসারে অনুসারে এখানে তারাবির নামাজে আলাদা আলাদা রাকাত পড়ার বেশ কয়েকটি মাযহাব পাড়া গেছে। যেমন মালেকি, হানাফি এবং হাম্বলী মাযহাব ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়েন। এবং তারা এ পক্ষের দলিল পেশ করেন। আমাদের দেশে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়া সংখ্যা বেশি।

তারাবি নামাজ ৮ রাকাত পড়ার পক্ষে যারা

তারাবি নামাজ কত রাকাত সে বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক বেশি হয় ৮ রাকাত নাকি ১২ রাকাত সে বিষয়ে সম্পর্কে। ৮ রাকাত পড়ার পক্ষে রয়েছে আহলে হাদিস এবং সালাফি। এছাড়াও আধুনিক ইসলামিক গবেষকরা ৮ রাকাত নামাজ পড়ার পক্ষে বিভিন্ন দলিল ও কথা বলছেন।

৩৬ রাকাত তারাবি নামাজ

সাফিয়ি মাজহাব তারা ৩৬ রাকাত নামাজের কথা বলেছেন। তবে তারা অধিকাংশ সময় ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ে থাকেন। তবে আমাদের দেশসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে এই ৩৬ রাকাত নামাজ পড়ার পরিমাণ একদমই কম।

কিন্তু এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক না করে সবাই সম্মিলিত হয়ে বিজ্ঞ আলেমদের দ্বারা আপনারা এগুলো শুনে নিবেন। এগুলো নিয়ে অনেক হাদিস এবং বিষয়বস্তু রয়েছে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। অভিজ্ঞ এবং মাওলানা দের কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে নেবেন এবং সে অনুযায়ী আমল করবেন। তবে যে রাকাত পড়েন না কেন অবশ্যই আল্লাহ তাআলার দেওয়া এবং নবীর দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজ আদায় করতে হবে। আর এই নামাজ আদায় করার নিয়ম হচ্ছে এশার নামাজের পর এবং বিতর নামাজের পূর্বে।

যারা তারাবি নামাজ কত রাকাত এ বিষয় নিয়ে তর্ক করেন। তারা দয়া করে এ বিষয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করবেন না। বিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সে অনুযায়ী চলুন। কেননা এর মাধ্যমে নিজের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হবে।