আগামী ১৪ তারিখ থেকে ঈদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ক্রেতারা এখান থেকে অগ্রিম ক্রিকেট কিনে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন এবং পরে ভ্রমণ করতে পারবেন। চলেন তাহলে আপনারা কিভাবে ট্রেনের টিকেট কিনবেন এবং এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জানানোর চেষ্টা করি।

ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু কবে থেকে?

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এই ট্রেন বা রেলগাড়ি। এই ট্রেনে ভ্রমণ করলে খুব সহজেই অল্প টাকায় ভ্রমণ করা যায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পর্যন্ত। কারণ এখানে তুলনামূলকভাবে খরচ কম হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ক্যাটেগরি অনুসারে আসনের মূল্য কম বেশি হয়। তবে আসলে এর মূল্য কম বেশি হওয়ার সাথে সাথে এখানে সুযোগ-সুবিধা কম বেশি রয়েছে।

তবে যাই হোক ট্রেনে ভ্রমণে অনেকে সুবিধা মনে করেন কারণ যারা বাজে ভ্রমণ করতে পারেন না তারা এ ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারেন। এই ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ সহজ হলেও মাঝে মাঝে পড়তে হয় বিড়ম্বনাতে। কারণ বিশেষ উৎসব কিংবা বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে এখানে প্রচুর ভিড়ের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এর জন্য পড়া হয় নানা ধরনের বিড়ম্বনার মধ্যে।

শুধু বিষয়টি তা নয় অনেক সময় ট্রেনের টিকেট পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে টেনের টিকেট পাওয়া গেল সঠিক আসনটি পাওয়া যায় না কিংবা অনেকের ট্রেনে চলতেও পারে না এত ভিড়ের মধ্যে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এ সকল বিষয়গুলোই জানাবো কিভাবে কি করবেন এই ঈদের সময়।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ থেকে

প্রতিবছর রমজানের পর ঈদুল ফিতরের সময় বাড়িতে ভ্রমণ করে কিংবা গ্রামের বাড়িতে চলে যান অনেকেই। এ সময় সাধারণ যানবাহন বাস থেকে শুরু করে ট্রেন পর্যন্ত সকল জায়গায় প্রচন্ড ভিড় থাকে। বিশেষ করে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে দূরবর্তী মানুষেরা। কিন্তু ঢাকার অধিকাংশ মানুষেরাই ভ্রমণ করে তাদের নিজ নিজ স্থায়ী গন্তব্যে। যার কারণে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয় এমন কি ট্রেনের মধ্যেও সৃষ্টি হয় নানা ধরনের সমস্যা।

আর এই সকল সমস্যা মধ্য দিয়েও মানুষজন তাদের গন্তব্যে গিয়ে ঈদ করার জন্য চলে যান। এখানে যাওয়ার জন্য তাদের বিশেষ করে যারা ট্রেনের টিকেট কিনেন তাদের পড়তে হয় নানা ধরনের বিড়ম্বনায়। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সিরিয়াল থাকার পর অনেকেই এই টিকেট পেয়ে যান। তারপর পান স্বস্তির নিঃশ্বাস। পূর্বে এমনও হয়েছে অনেকে আগের দিন রাতে এসে সিরিয়ালে দাঁড়াতো এবং পরের দিন টিকেট পেতে আবার অনেকে আছে টিকিট পেত না। কেননা সিরিয়াল শেষ হওয়ার আগেই টিকিট শেষ হয়ে যেত।

প্রথম দিকে প্রচুর চাপ সৃষ্টি হতো যার কারণে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হতো অনেক আগে থেকেই। পূর্বের মতো এ বছরও ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। যারা এই অগ্রিম টিকেট কিনে ভ্রমন করতে চান তারা আগামী ১৪ই মার্চ থেকে বিশ মার্চ পর্যন্ত এই অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন। আর এমনটাই বলা হয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ থেকে। আর এই ট্রেনের টিকেটগুলো হচ্ছে ২৪ মাস থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে। সুতরাং এই সময়ের মধ্যে যারা ভ্রমন করবেন তারা উক্ত সময়ের মধ্যে ট্রেনের টিকেটগুলো কিনতে পারবেন। সরাসরি কাউন্টার কিংবা অনলাইন থেকেও এই টিকেট কেনা যাবে নির্দিষ্ট নিয়মে।

এই ছিল ঈদের অগ্রিম টিকিট কেনার নিয়ম সম্পর্কে তথ্য। এরকম আরো সর্বশেষ সংবাদ এবং বিষয়গুলো জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন এবং দেখে নিবেন অন্যান্য বিষয়গুলো।

আরোঃ কক্সবাজারের রমজানের ক্যালেন্ডার